
পৃথিবীর সময়ে ২০২০ এখন। কোন এক উদ্দেশ্যহীন ভবিষ্যতের দিকে ধাবমান পুস্তকে শিক্ষিত এই পৃথিবী।
বৈদ্যুতিক রোশনাইয়ে আলোকিত এই অন্ধকারে জ্ঞানের প্রদীপ নিভে গেছে সেই ২০০০ সালের প্রারম্ভেই। এখনো ভাবি এইতো সেদিন গিয়েছিলাম গ্রামের বাড়িতে।
রুক্ষ বর্তমানে কখনো ভাবার সময় হয় না এখন প্রাচীনের ঐ কুজ্ঝটিকার নিবিড় সখ্যতার স্মৃতিগুলো। এখন তো পরম আনন্দের প্রাণহীন গৃহে সভ্যতার বসবাস এই বর্বর বর্তমানে। এখানে নির্লজ্জের পরিধানে আবৃত আমি জিজ্ঞেস করি আপনাকে, কেন এসেছেন আপনি আমার এই আধুনিক শহরে? কিন্তু, আপনিই তো ছিলেন স্বর্গের ঐ পত্রবাহক।

আপনিই তো সেই বিলুপ্তপ্রায় প্রকৃতি, আমি তো আজ স্মৃতির পাতায় আপনাকে আর দেখতে চাই না এই সভ্য নরকে। ইচ্ছে করেই বিশ্বাস করি, “আধুনিকত্বই যে স্বর্গ”।
হৃদয়ের গহিনে জানি, আধুনিক সভ্যতা যে ষড়রিপুর বিশ্বাসঘাতক পুত্র মাত্র।
অজ্ঞানতার অহংকারে জর্জরিত এই জ্ঞানে এখনো জানতে চাই আমি, “কেন এসেছিলেন স্বর্গের পত্রবাহক ঐ বিরল ক্ষণে?”
একটাই তো প্রশ্ন ছিল ঐ পত্রবাহকের দেওয়া উপলব্ধির পত্রে, “অজস্র, নিযুত বৃক্ষের শবদেহে গড়া অভিশপ্ত বর্তমান পৃথিবীতে কেও কি সুখী এই লৌহ বাস্তবে?”